টেক্সটাইল

এসময়কার টেকনিক্যাল টেক্সটাইল

এসময়কার টেকনিক্যাল টেক্সটাইল
টেকনিক্যাল টেক্সটাইল  বর্তমান টেক্সটাইল শিল্পের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল খাত। টেকনিক্যাল টেক্সটাইল সম্পূর্ণ টেক্সটাইল খাতের ২১ শতাংশ। বাংলাদেশে টেকনিক্যাল টেক্সটাইল এর বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।
টেক্সটাইল বলতেই আমরা সাধারণত সুই,সুতা,কাপড় বা ফেব্রিক ইত্যাদি মনে করি।কিন্তু,এই সব কিছুর বাহিরেও রয়েছে এর এক বিশাল ও সুসমপ্রসারিত জগৎ।সুনির্দিষ্ট কিছু প্রয়োজনে ব্যাবহারের জন্য তৈরি পোশাক যেমন অতিরিক্ত শীতে কিংবা অতিরিক্ত গরমে,খারাপ আবহাওয়ায় এবং বিভিন্ন প্রতিকূল জলবায়ুর অঞ্চলে ব্যাবহার করার জন্য পোশাক ও বিশেষ কাজে ব্যবহৃত ফেব্রিককে টেকনিক্যাল টেক্সটাইল বলে। চিন্তা ও প্রযুক্তির ব্যবহার বতর্মান টেক্সটাইল শিল্পটিকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। টেকনিক্যাল টেক্সটাইলের কয়েকটি শাখা বা ভাগ রয়েছে (জিওটেক্স,মেডিটেক্স,প্রটেকটিভ এ্যাপারেল,ক্যানভাস,ট্যান্টস,ট্রান্সপোর্ট)
প্রযুক্তিগত টেক্সটাইল এর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার রয়েছে এবং দিন দিন এর ব্যবহার বেড়েই চলছে। মেডিকেল, কৃষি, হর্টিকালচার,রোড কন্সট্রাকশন,বিল্ডিং কন্সট্রাকশন, রুফ টপিং, ট্রান্সপোর্টেশন টেক্সটাইল, হোম টেক্সটাইল এই সব কিছুতেই রয়েছে টেকনিক্যাল টেক্সটাইল এর ব্যবহার।
.

টেকনিক্যাল টেক্সটাইলস

 

চিকিৎসা এবং অস্ত্রোপচারে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম

অপারেটিং গাউন,স্ট্যারইলিজেশন প্যাকেট,ড্রেসিং,সেলাইয়ের কাজে ব্যবহৃত বিশেষ সুতা,অর্থোপেডিক চিকিৎসায় ব্যবহীত সরঞ্জাম ইত্যাদি ছাড়াও কৃত্রিম লিগামেন্ট, শিরা,হার্টের ভাল্ব এবং ধমনির মত গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো ও টেকনিক্যাল টেক্সটাইল এর ফসল।
মেডিটেক্সের বাজারটি ছোট হলেও এর অর্থনৈতিক মুল্য অনেক বেশি।মানুষের জীবন বাঁচাতে মেডিটেক্সের ভুমিকা অপরিমেয়।অর্থনৈতিক গুরুত্বের চেয়ে এর ব্যাবহারিক গুরুত্ব আরও বহুগুণ বেশি।মেডিটেক্স বর্তমান চিকিৎসার জন্য আর্শিবাদস্বরূপ।
.

ডিফেন্স টেক্সটাইল-স্মার্ট টেক্সটাইল

.
কৃষিতে,মাছ চাষে ব্যবহারের জাল,লাইন,বিভিন্ন প্রতিরক্ষামূলক বস্র, বিভিন্ন গবেষণার কাজে ব্যবহার করা বিশেষ মাস্ক, গ্লাভস ,বাড়িতে ব্যবহার করা অত্যাধুনিক পর্দা ইত্যাদি পন্যগুলোও এই খাতের অংশ।
রাস্তা তৈরির কাজে,নদীর পাড় বা বাঁধ রক্ষায় জিওটেক্সটাইল এর ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে।জিওটেক্সের ব্যবহার নদী-শাসনকে করেছে সহজ ও তরান্বিত। উন্নত দেশে রাস্তা তৈরীতে জিওটেক্স প্রযুক্তি প্রথম পছন্দ।
বিভিন্ন স্পোর্টস সরঞ্জামে প্রযুক্তিগত টেক্সটাইল এনে দিয়েছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। আজকাল এমন কাপড় তৈরী করা হচ্ছে যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।এমনকি গায়ে পরিহিত কাপড় থেকে শরীরের রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল এর পরিমান জানা যায়।সুইমিং স্যুট, অত্যাধুনিক স্পোর্টস সু,প্যাডস ও বিভিন্ন সুরক্ষা সরঞ্জাম খেলাধুলাকে করেছে সহজ ও সাচ্ছন্দ্যময়।
প্রযুক্তিগত টেক্সটাইল বর্তমান টেক্সটাইল শিল্পকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। এর বর্ননা করে শেষ করা আদৌও কি সম্ভব?
বাংলাদেশে টেক্সটাইল শিল্পের ব্যাপক উন্নয়ন হলেও প্রযুক্তিগত টেক্সটাইল এর ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে।আমাদের দেশে টেকনিক্যাল টেক্সটাইল নিয়ে কাজ করে এমন হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে । তবে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশও এই খাতে বিরাট অবদান রাখবে। সেই জন্য এগিয়ে আসতে হবে আমাদের সবাইকে
About the Author:
Tarek Aziz
BGMEA University of fashion And Technology
Department: Textile Engineering
Batch-192
Reference:
  • Textile Blog
  • Ecotextile
  • Textile learner
  • Wikipedia

Orgiline

About Author