বস্ত্র শিল্প ও বস্ত্র শিক্ষা; বিশ্ববাজারে পোশাক খাতের গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ায় এ খাতে নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্রও তৈরি হচ্ছে। এ বিষয়ে পর্যাপ্ত দক্ষতা থাকলে ক্যারিয়ার গড়ার পাশাপাশি দেশের জন্য কিছু করার সুযোগ পাওয়া যাবে এ ধারনা থেকেই টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের কাছে।
বর্তমান দেশে ৪২ টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউ,৮টি টেক্সটাইল ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউট,৭টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,৫টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১১টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়।
এত এত শিক্ষার্থী বছর শেষে বের হলেও টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মরত ব্যক্তিবর্গের মুখে বলতে শোনা যায় তারা দক্ষ জনশক্তি পাচ্ছে না।
বর্তমান অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের দক্ষতা,যোগ্যতা কেমন? যোগ্যতা থাকলেও,দক্ষ হয়ে উঠছে না শিক্ষার্থীরা। এর দায়ভার কি শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের? টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়,কলেজের শিক্ষার্থীদের মতামত শুনলেই বুঝতে পারবেন,কতটা গবেষণামূলক কাজ হয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে। এক্ষেত্রে শিক্ষকদেরও এর দায়ভার নিতে হবে। একজন শিক্ষকের দুটি বিষয়ে পারদর্শিতা অপরিহার্য: বিষয় জ্ঞান এবং শিক্ষণ ও গবেষণা দক্ষতা। বর্তমান শিক্ষকদের মাঝে এসব পারদর্শিতার কতটুকু পরিলক্ষিত হয়?
অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তৃতায় জাপানের উদাহরণ টেনে বিদেশ থেকে শিক্ষক আনার কথা বলেছেন। প্রয়োজন হলে বিদেশ থেকে শিক্ষক আনা যেতে পারে। কিন্তু এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো শিক্ষাঙ্গনে এমন পরিবেশ তৈরি করা, যাতে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে ও থাকতে উৎসাহিত হন।
বস্ত্র শিল্প ও বস্ত্র শিক্ষা
ইউনেসকোর সুপারিশ অনুযায়ী, শিক্ষা খাতে একটি দেশের বরাদ্দ হওয়া উচিত নিজ দেশের জিডিপির ৬ শতাংশ অথবা বাজেটের ২০ শতাংশ। পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বাজেট বরাদ্দ মোট বাজেটের ১৩ দশমিক ১ শতাংশ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১১ দশমিক ৬ শতাংশ হয়।
বর্তমান ২০২০-২১ অর্থ বছরে ১১থেকে ১২ শতাংশ।
আমাদের শিক্ষা খাতের সবচেয়ে বরাদ্দ বেশি ছিল স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে, ২২ শতাংশ। জাতীয় উন্নয়নে শিক্ষা খাতে বিনিয়োগের সুফল আসে ধীরে ধীরে, কিন্তু এ সুফল সুনিশ্চিত এবং দীর্ঘস্থায়ী।
দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৬% বস্ত্রখাত হতে অর্জিত হয়।
রাষ্ট্রের উচিত বস্ত্রখাতকে আরও এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের উচ্চতর স্তরে গবেষণার পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া।
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেওয়া।একজন দক্ষ শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে কয়েকজন শিক্ষার্থী নিয়ে ছোট-বড় বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের গবেষণার প্রতি আগহী করা। যদিও কিছু প্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যে এসব কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তারপরও বলব দেশের স্বার্থে,বস্ত্র শিল্পের স্বার্থে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করুন।
Analyzed by
রাছেল ইসলাম
Campus Team Member
BTEC, Tangail
Follow us on Google News