টেক্সটাইল

টেক্সটাইল এর বাস্তবতা

টেক্সটাইল এর বাস্তবতা
টেক্সটাইল এর বাস্তবতা– সভ্যতার শুরুর দিকে মানুষের কোন ধারণা ছিল না পোশাক-আশাক বা টেক্সটাইল নিয়ে, তারা এটাই জানত না পোশাক নামেও যে কোন কিছু আছে।
গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলোতে তখনকার যুগে পোশাকের খুব বেশি প্রয়োজনবোধ হত না কারণ আমরা সকলেই জানি গরমের জন্য মানুষ হালকা পোশাক পরিধান করতে পছন্দ করে। তাই তারা পোশাক পরিধান করুক আর না করুক তাতে তাদের জীবন নির্বাহ করতে তেমন কোন সমস্যা হত না।কিন্তু শীতপ্রধান দেশগুলোতে শীতের তীব্রতা সহ্য করে জীবন ধারণ করা কোনভাবেই সম্ভব ছিল না তাই তারা শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে নানা ধরনের পরিকল্পনা করতে থাকে ।
Join Our Fb Group
পরিকল্পনা অনু্যায়ী তারা বন্য জীবজন্তু হত্যা করে তাদের চামড়া নিজেদের গায়ে জড়িয়ে নিজেদেরকে শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা করত।
এভাবে চলতে চলতে ধীরে ধীরে তাদের মাথা সেলাই করার চিন্তা মাথায় আসে। এতে করে সময়ের সাথে অসভ্য মানুষ সভ্য হতে শিখেছে। তারা শুধু শীত নিবারণের জন্য নয় লজ্জা নিবারণের জন্যও পোশাক পরিধান করত।
এমন করে বিভিন্ন জায়গায় চীন বলেন, ইজিপট বলেন সবাই নতুন নতুন পোশাক এর চিন্তা নিয়ে সারাবিশ্বে তা ছড়িয়ে দিয়েছে।

টেক্সটাইল এর বাস্তবতা

 

ইজিপশিয়ানরা তাদের শৈল্পিক দক্ষতার কারণে খুব জনপ্রিয় ছিল তখন। চীন প্রথম রেশম পোকা থেকে সিল্ক তৈরির কৌশল আবিষ্কার করে তা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছে। এভাবে টেক্সটাইল এর বিস্তার ধীরে ধীরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে সরাসরি বা কোন না উৎসের মাধ্যমে পৌঁছেছে।
বর্তমানে আমরা টেক্সটাইল নিয়ে অনেক এগিয়ে। কারণ এটা পরিসংখ্যান বলছে। তবে আমাদের অগ্রসরতা প্রকৃতির জন্য এক বিরাট হুমকি ঢেকে আনছে। আমরা অতিরিক্ত লাভের আশায় বন উজাড় করছি।আমরা অতিরিক্ত পানির ব্যাপার করছি যার ফলস্বরুপ অদূর ভবিষত এ পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানির অভাবে মানুষ মৃত্যুহার এবং মানুষে মানুষের হানাহানি বেড়ে যাবে, ধ্বংস হয়ে যাবে সামাজিক রীতিনীতি।
তার চেয়েও বড় ক্ষতি হচ্ছে মানুষের বাসযোগ্য স্থানে শিল্পকারখানা গড়ে তোলা যার ফলে বিষাক্ত পরিবেশে মানুষজনকে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। সরকারিভাবে এসব এর বিরুদ্ধে নীরব দর্শক এর মত আচরণ দেশ ও জাতির ভবিষত এর জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর।
গত কয়েক বছর এ আগুনের কারণ কত গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইল শিল্প ধবংস হয়েছে। মানুষ তাদের স্বজন হারিয়েছে। অনেকের একমাত্র উপার্জনক্ষম লোক তারা হারিয়েছে। এসব কারণ হচ্ছে পরিকল্পনা ছাড়া গার্মেন্টস শিল্প গড়ে উঠা এবং অপর্যাপ্ত সর্তকতা।
টেক্সটাইল হোক আর স্টিল মিল হোক সবই পরিবেশ এবং মানুষ এর জন্য ক্ষতিকর। এর মানে কি আমরা সব বন্ধ করে হাত গুড়িয়ে বসে থাকব। এমন হলে দেশে দুর্ভিক্ষ নেমে আসবে। পরিকল্পনা এবং সর্তকতা জোরদার করতে হবে।
কারখানাগুলোর নিয়মিত উন্নয়ন ঘটাতে হবে এবং এর লুপ হোলস বা ভুল ত্রুটিগুলো দ্রুত সারিয়ে তুলতে হবে। টেক্সটাইল যেকোন দেশের জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ, তাই এর ব্যবহার অনেক যত্নের সহিত করতে হবে।
মানবকল্যাণের সম্পদ যদি মানবধ্বংসের সম্পদ এ পরিণত হয় তাহলে জাতির জন্য লজ্জাজনক ব্যাপার হবে,কারণ হাত থাকতে যদি হাতের সঠিক ব্যবহার বা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না হয় তাহলে সেই হাত এর জন্য অদূর ভবিষত এ আপনাকে অনেক কষ্ট করতে হবে
Author:
মোহাম্মদ আতাউর রহমান সোহাগ
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ জোরারগঞ্জ

Orgiline

About Author