দেহরক্ষী হিসেবে কাপড়

Table of Contents

এন্টিভাইরাল কাপড় | কখনও চিন্তা করেছিলেন??? আপনার কাপড় দেহরক্ষী হিসেবে সকল জীবাণু থেকে  আপনাকে রক্ষা করবে।

করোনা নাকি জামা কাপড়েও বসে থাকতে পারে। কারণ খালি চোখে তো আর করোনাভাইরাস কে দেখা দেয় না। কাজেই বাহিরে বের হলেই  নানা চিন্তা। এই বুঝি জামায় এসে বসল করোনা ভাইরাস। চিন্তা নেই, এবার চলে এল অ্যান্টি ভাইরাল কাপড় । ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থেকে যা আপনাকে রক্ষা করবে। মজার বিষয় হলো,এই কাপড় কে আমরা দেহরক্ষী কাপড়ও বলতে পারি।বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া সহ অনেক বড় বড় দেশ ইতিমধ্যেই এই কাপড় তৈরি করে ফেলেছে। 

 

এন্টিভাইরাল কাপড়

 

কিভাবে তৈরি করা হয় এই ধরনের এন্টিভাইরাল কাপড়??? 

 

  •  হেইক ভাইরোব্লক-যুক্ত উন্নত সিলভার ও ভ্যাসিক্যাল প্রযুক্তির বিশেষ মেলবন্ধনে তৈরী। যা কয়েক মিনিটের মধ্যেই ৯৯.৯৯% ভাইরাস হ্রাস করে।

 

  • এই প্রযুক্তি মানবদেহে কোভিড – ১৯ রোগসৃষ্টিকারী করোনা ভাইরাস ২২৯ ই এবং সার্স – কোভ – ২ এর উপর ও সমান ভাবে কার্যকরী। এটি সুরক্ষিত ও হাইপোল্র্জেনিক।

 

কিভাবেই বা কাজ করবে এই ধরনের জীবাণু রোধক কাপড়?

 

গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে-ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জামাকাপড়ের উপরে দু’দিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। হেইক ভাইরোব্লক দিয়ে তৈরী পোশাক সক্রিয়ভাবে ভাইরাস প্রতিরোধ করবে। এই পোশাকের সংস্পর্শে এলে ভাইরাস নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে রোগজীবাণু কাপড়ের মাধ্যমে পুনরায় সংক্রমণের সম্ভবনা হ্রাস পাবে।

 

বাংলাদেশেও তৈরি হচ্ছে সাড়াজাগানো এন্টিভাইরাল কাপড়ঃ

 

আমাদের জন্য অনেক আনন্দের খবর যে,আমাদের দেশেও এ ধরনের কাপড় তৈরি হচ্ছে। দেশের বস্ত্র খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান জাবের অ্যান্ড জুবায়ের করোনাভাইরাস প্রতিরোধক কাপড় তৈরি করেছে। এই কাপড় তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ। ফলে ওই কাপড়ে করোনাভাইরাসসহ অন্য কোনো ভাইরাস টিকতে পারবে না। যদি কোনোভাবে কোনো ভাইরাস ওই কাপড়ে লাগে, মাত্র কয়েক মিনিটে ওই কাপড় ৯৯.৯ শতাংশ ভাইরাসমুক্ত হবে।

 

এন্টিভাইরাল কাপড়

 

এরই মধ্যে তাদের এই কাপড় আন্তর্জাতিকভাবে মান সনদের স্বীকৃতি পেয়েছে। আইএসও ১৮১৮৪-এর অধীনে এটি পরীক্ষা করা হয়েছে। 

 

যা বাংলাদেশ টেক্সটাইল খাতে একটি ইতিবাচক দিক হিসেবে কাজ করবে এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি  কে আরো অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। 

 

তথ্যসূত্রঃ গুগল(google), উইকিপিডিয়া(Wikipedia), 

পত্রিকা(newspaper) 

 

About the Author

মোঃবেনজির ইসলাম 

ড.ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং কলেজ, রংপুর। 

((ওয়েট প্রসেসিং ইন্জিনিয়ারিং))

 

Join our FB Group