অবাক লাগছে? লাগার ই কথা। শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও এখন বাঁশ থেকে টেক্সটাইল ফাইবার তৈরি করা হচ্ছে । বাঁশ শব্দটি এসেছে “Malay” শব্দ “মাম্বু” থেকে।”মালয়” হলো মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়াশ জাতীয় ভাষা।ষোড়শ শতাব্দীর শেষের দিকে (১৫৯০-১৬০০) ডাচরা এর নাম দিয়েছিলো “বাম্বোয়েস” যার পরে এটি এর নব্য-লাতিন নাম হয় “বাম্বুসা”।
এইতো গেলো বাঁশের নামকরনের ছোট ইতিহাস কিন্তু বাঁশের ব্যবহার অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে এবং হচ্ছে।আধুনিক জীবনধারায়ও বাঁশের বহুবিধ ব্যবহার লক্ষনিয়।বাঁশ দিয়ে কেওবা বানচ্ছে বসত বাড়ি,সাঁকো কেউবা খাচ্ছে বাঁশ প্রতিদিনই।হ্যা বাঁশ দিয়ে এখন খাবার ও তৈরি হচ্ছে।” সাজেকের এক্টি জনপ্রিয় খাবার হল “Bamboo Chicken “।
এইতো গেলো বাঁশ খাওয়া আর ব্যবহার।কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন এই বাঁশ থেকেও তৈরি হচ্ছে সুতা!! জ্বি হ্যা বাঁশ থেকে সুতা তৈরি করা যায়। বহুমুখী বৈশিষ্ট্যের কারণে, বাঁশের তন্তুগুলি মূলত টেক্সটাইল শিল্পে পোশাক, তোয়ালে এবং বাথরোব তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়। অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল প্রকৃতির কারণে, এটি ব্যান্ডেজ, মাস্ক, নার্স পরিধান এবং স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
বাঁশ থেকে টেক্সটাইল ফাইবার
চলুন জেনে নেয়া হোক বাঁশের সুতার কিছু অজানা তথ্যঃ
[১]বাঁশের সুতা সর্বোত্তম জৈব “সুতির” (Cotton) চেয়ে 40% বেশি শোষক, ত্বক থেকে আর্দ্রতা খুব দ্রুত দূরে সরিয়ে আপনাকে শুকনো এবং সতেজ রাখে।
[২]বাঁশে সুতায় উপস্থিত অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল -আপনাকে গন্ধ মুক্ত এবং আপনার সতেজভাব বজায় রাখতে সহয়তা করে।(বাঁশের সুতা আদ্রতা টেনে আপনাকে শুকনা রাখবে)
[৩]বাঁশের সুতা দ্বারা তৈরিকৃত পোশাক আপনাকে গরমের দিনে ঠান্ডা এবং শীতের দিনে আপনাকে গরম রাখতে ব্যপক ভুমিকা পালন করে।
[৪]বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয় নরম কাপড় তৈরি করা যায় বাঁশের সুতার সাহায্যে।
[৫] সুর্যের ক্ষতির অতি বেগুনি রশ্নি শরীলে প্রবেশে বাধা দেয় বাঁশের সুতা দ্বারা তৈরিকৃত পোশাক।
[৬] বিশেষ করে যাদের এলার্জির সমস্যা, তাদের জন্য বাঁশের সুতা দিয়ে তৈরিকৃত পোশাক বেশ উপকারী। কারণ, এই সুতা শরীলে কোনোপ্রকার এলার্জি প্রতিক্রিয়া হতে বাধা প্রদান করে
Author:
Hamidur Rahman
(BUFT)
You May Also Read:
You May Like our Fb Page and stay Connected