মসলিন শাড়ী সম্পর্কে চোখ ধাধানো ২০ টি তথ্য

Table of Contents

Introduction

জগৎবিখ্যাত মসলিন শাড়ির নাম শোনে নি এমন মানুষ খুজে পাওয়া দুষ্কর।তাই চলুন সময় নষ্ট না করে  জেনে নেই আজানা কিছু তথ্য;

 

১/ মসলিন ফুটি কর্পাস নামক তুলা থেকে তৈরি হত।

২/ মসলিন নামটি ইরাক এর মসুল শহর থেকা এসেছে।

৩/মসলিন নামটি ইউরোপীয়দের দেওয়া।

৪/ চরকা দিয়ে কাটা হাত এ বোনা মসলিন এর জন্য সরবনিম্ন ৩০০ কউন্ট এর সুতা ব্যবহার করা হত তাই মসলিন হত কাচ এর মত স্বচ্ছ।

৫/ মসলিন প্রায় ২৮ রকম হত।

৬/জামদানিও এক ধরনের মস্লিন।

৭/নানা কারনে ১৮ শতকে্র শেষ দিকে বাংলায় মসলিন তৈরি বন্ধ হয়ে যায়।

৮/রোমান সাম্রারাজের স্বর্ন যুগেও মসলিন এর কথা জানা যাই।

৯/এক টুকরো মসলিন কাপড় অনায়াসে একটি আংটির ভিতর দিয়ে নাড়াচাড়া করা যেত।

১০/ঢাকা এর জাদুঘর  যে মসলিন টি আছে তার দৈর্ঘ্য ১০ গজ এবং প্রস্থ ১ গজ কিন্ত ওজন মাত্র ৭ তোলা।

 

মসলিন শাড়ীর অজানা তথ্য

মসলিন শাড়ীর অজানা তথ্য

 

১১/ সবচেয়ে সুক্ষ মসলিন এর নাম মলমল।

১২/ একটি ভাল মসলিন তৈরি করতে ৬ মাস পর্যন্ত লেগে যেত।

১৩/সম্রাটদের জন্য সংগৃহীত বস্ত্রের নাম ছিল মল্বুস খাস এবং নওয়াবদের জন্য সংগৃহীত বস্ত্রের নাম ছিল সরকার-ই-আলা।

১৪/ মুগল সরকার সম্রাট ও নওয়াবদের ব্যবহার্য মসলিন প্রস্ত্তত-কার্য তদারকির জন্য দারোগা বা দারোগা-ই-মলবুস খাস উপাধিধারী একজন কর্মকর্তা নিয়োগ করেন।

১৫/ এক হিসাবে জানা যায় যে, ১৭৪৭ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা থেকে যে পরিমাণ সূতিবস্ত্র (প্রধানত সূক্ষ্ম মসলিন বস্ত্র) রপ্তানি এবং সম্রাট ও নওয়াবদের জন্য সংগৃহীত হয়, তার মূল্য ছিল আটাশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা।

১৬/ মসলিন শাড়ি এত সূক্ষ্ম যে দেশলাইয়ের বাক্সে এঁটে যায়।

১৭/ ১৮৫১ সালে লন্ডন এর বস্র প্রদর্শনী তে মসলিন সবার আকর্ষণ এর কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।

১৮/ ঢাকাই মসলিন নাম হলেও মসলিন মূলতো প্রস্তুত করা হতো পূর্ব বাংলার সোনারগাঁও অঞ্চলে। ঢাকার কয়েকটি স্থান ছিল উৎকৃষ্টমানের মসলিনতৈরির জন্য প্রসিদ্ধ। তবে কিশোরগঞ্জের জঙ্গলবাড়িতে অত্যন্ত সূক্ষ্ম মসলিনকাপড় তৈরি করা হতো। (মসলিন শাড়ীর অজানা তথ্য)

১৯/ মসলিন তৈরিতে যে বিশেষ সূতা ব্যবহৃত হত তার এক পাউন্ডের দৈর্ঘ্য প্রায় আড়াইশ মাইল হত।

২০/ মসলিনে সুতা এতই সূক্ষ্ম ছিলো যে সকাল কিংবা সন্ধ্যাবেলার শীতল আর স্নিগ্ধ পরিবেশ ছাড়া এই সুতা কাটাই যেতো না। অনেকে মনে করেন, ১৮ থেকে ৩০ বছরের মেয়েরাই এই সুতা কাটতে পারতো।

 

About the Writer:

 

Niloy Kundu Bejoy

BGMEA University of Fashion & Technology

Textile Engineering and Management

Batch-201; Id: 201-005811

You may also read

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ লাইক করুন। এবং জানতে থাকুন নতুন ও আশ্চর্যজনক তথ্যসমূহ।